খুবই প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী স্বাস্থ্য টিপস

খুবই প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী স্বাস্থ্য টিপস

সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে কিছু কথা বলবো যা আপনাদের প্রতিনিয়ত ও কাজে লাগে। স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কে না চায়। তবে আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে কিভাবে চললে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায় কি নিয়ম মানলে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। আজকে আমরা স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

খুবই প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী স্বাস্থ্য টিপস

১। সকালে খালি পেটে পানি পান করাঃ
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি প্রয়োজনীয়। আর নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমের অনেক উপকার করে। এর ফলে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি বিপাকীয় হারকে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকে। তাই আমি মনে করি অবশ্যই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পানি পান করা উচিত।

সকালে পানি পান করার উপকারিতা অনেক নিম্নে দেওয়া হলঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিপাক ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পানি অন্তর পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। কোলন পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধান করে এই পানি।

২। প্রতিদিন ফল খাওয়াঃ
ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ভিন্ন ভিন্ন ফলে নানা রকমের উপাদান রয়েছে, এক রকমের ফল বেশি পরিমাণে না খেয়ে বিভিন্ন ফল টুকরো টুকরো করে খাওয়া ভালো। দেহকে সচল ও সবল রাখতে হলে আমাদেরকে প্রত্যেক দিন ফল খেতেই হবে। দেহ সুস্থ-সবল রাখতে যেই সকল পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন তার প্রায় সবই আছে ফলে। বিশেষ করে ফল হলো বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের আধার।

এছাড়া রয়েছে ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং গুনাগুন। কিডনিতে পাথর হওয়া ও হাঁড় ক্ষয় কমায় পটাশিয়াম, রক্তকণা গঠনে সাহায্য করে ফলের ফলিক এসিড। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য সার্বক্ষনিক রক্ষায় ও কমে যাওয়া স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ফল অদ্বিতীয়। তাদের দেহের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ফলেট বা ফলিক এসিড দরকার হয়। কিছু কিছু ফল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন ফল খেলে স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ
নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পুনরুদ্ধার হতে সাহায্য করে। হৃদ্ররোগ, সংবহন তন্ত্রের জটিলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতা রোধে শারীরিক ব্যায়াম কার্যকর ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করার ফলে; শরীরের ওজন ঠিক থাকে। উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়। শিশু এবং কিশোরদের প্রতি দিন অন্তত ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে অথবা ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে খেলাধূলায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে ! সু-স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতি দিন কমপক্ষে দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা ব্যায়াম অথবা তিন চার ঘন্টা শারীরিক বা কায়িক শ্রম করতে হবে।

৪। বেশি করে হাসুন
ড. জেমস গিল বলছেন, মানুষের উচিত সুখী হওয়ার চেষ্টা করা।

এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসতে পারে যে, সুখী হওয়া কি আর চাট্টিখানি কথা? নাকি চাইলেই সুখী হওয়া যায়?

এক্ষেত্রে ড. গিলের উত্তর হচ্ছে, সহজেই সুখী হওয়া যায়।

সুখী থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সম্মানিত পাঠক উপরে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখাটির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপসগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *