চাকরির প্রস্তুতি নেয়া পাঠক পাঠিকা, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আপডেট চাকরির পক্ষ থেকে স্বাগতম। আমরা প্রতিনিয়ত চাকরির প্রস্তুতি বিষয়ে পোষ্ট করে থাকি। আপনি যদি চাকরি প্রার্থী হন তাহলে সঠিক যায়গায় আসছেন। আজকে আমরা ধ্বনি কাকে বলে | ধ্বনি কয় প্রকার ও কি কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। চলো তাহলে শুরু করা যাক…
ধ্বনি কাকে বলে | ধ্বনি কয় প্রকার ও কি কি
ধ্বনি: ভাষার ক্ষুদ্রতম একক ধ্বনি (phone) নামে পরিচিত। এটি একটি পারিভাষিক শব্দ। সাধারণ ধ্বনি (আওয়াজ বা sound) আর ভাষার ধ্বনি এক নয় । ভাষার ক্ষুদ্রতম অংশ শব্দ এবং এ শব্দকে বিশ্লেষণ করলে ধ্বনি (phone) পাওয়া যায়। ধ্বনির সমন্বয়ে শব্দ (word) গঠিত হয় । শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয় বাক্য (sentence) এবং প্রবহমান বাক্যই হলো ভাষা (language)।
অর্থাৎ ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি। ধ্বনি বলতে সাধারণভাবে আমরা যেকোনো আওয়াজকে বুঝে থাকি। ভাষার ধ্বনি হলো বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত এমন কিছু ধ্বনি, যা মনের ভাব প্রকাশের জন্য মানুষ ব্যবহার করে থাকে।
ধ্বনি কাকে বলে
কোনো ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে তার যে অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায় তাই ধ্বনি। যেমন- ‘কবিতা’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় ক্ + অ + ব্ + ই + ত্ + আ সুতরাং ক, অ, ব্, ই, ত্, আ- এই ক্ষুদ্রতম উপাদানগুলোর প্রত্যেকটিই ধ্বনি । এসব ধ্বনির কোনোটাকেই আরও ক্ষুদ্রতর অংশে বিভক্ত করা যায় না ।

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে,
কোনও ভাষার উচ্চারিত শব্দকে (Word-কে) বিশ্লেষণ করিলে, আমরা কতগুলি ধ্বনি। (Sound) পাই । ধ্বনিতাত্ত্বিক মুহম্মদ আবদুল হাই ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন, অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগধ্বনি। ফুসফুস তাড়িত বাতাসের নির্গমনের ফলেই সাধারণত ধ্বনির সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রম অর্থাৎ শ্বাস গ্রহণের সময়ও ঠোঁট কিংবা মুখগহ্বরের স্থান বিশেষে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে ধ্বনি সৃষ্টির উদাহরণ বিরল নয় ।।
হুমায়ুন আজাদ বলেন,
প্রতিটি মানব ভাষায় থাকে একগুচ্ছ ধ্বনি, সাধারণত বারোটির বেশি ও ষাটটির কম। কোনো ভাষায়ই নেই অসংখ্য ধ্বনি । এই মুষ্টিমের ধ্বনির বিভিন্ন বিন্যাসে গড়ে ওঠে ভাষার বিপুল শব্দ। প্রতিটি ভাষার নিজস্ব ধ্বনিরাশির প্রত্যেকটির যেমন থাকে তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, তেমনি ওই ধ্বনিরাশি পরস্পরের সাথে সহাবস্থান করে সুশৃঙ্খল ধ্বনিতাত্ত্বিক নিয়মকানুন মেনে চলে । অর্থাৎ প্রত্যেক ভাষার রয়েছে ধ্বনি শৃঙ্খলা বা ধ্বনি সংগঠন।
মূল কথা হলো, অর্থবোধক ধ্বনি সমষ্টিই ভাষার প্রধান উপাদান। কিন্তু ধ্বনি দৃশ্যমান নয়, উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়। তাই ধ্বনিকে দৃশ্যরূপ দেওয়ার জন্যে বা লিখিত আকারে প্রকাশ করার জন্যে প্রয়োজন হয় এক প্রকার সংকেত বা চিহ্নের । আর এই সংকেত বা চিহ্নই হলো বর্ণ । ভাষার কোনো একটি শব্দকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় কতকগুলো ধ্বনি বা বর্ণ । যেমন- অ, আ, ই, উ, ক, ইত্যাদি। অর্থাৎ বর্ণ হলো ধ্বনির লিখিত রূপ আর ধ্বনি হলো বর্ণের উচ্চারিত রূপ।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ধ্বনি ও বর্ণ সম্পর্কে বলেছেন, যে ধ্বনি কানে শোনা যায়, তাকে নির্দিষ্ট রূপ দিয়ে প্রত্যক্ষ বস্তুর রূপে চোখের সামনে তুলে ধরা হয় । ধ্বনির এই লিখিত রূপ বা চিহ্নকে বলে বর্ণ । অবশেষে বলা যায়, বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব বলতে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যাবতীয় ধ্বনির বিবরণ, এগুলোর উচ্চারণ ও ব্যবহারবিন্যাসের আলোচনাকে বোজায় ।
ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি
ধ্বনি দু-প্রকার যথা –
১। স্বরধ্বনি ও
২। ব্যঞ্জনধ্বনি
১। স্বরধ্বনি কি বা কাকে বলেঃ যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও কোনো রকম বাধা পায় না, সেই সব ধ্বনিকে বলা হয় স্বরধ্বনি।
যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখের ভেতরে কোথাও বাধা পায় না এবং যা অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া নিজেই সম্পর্ণভাবে উচ্চারিত হয় তাকে স্বরধ্বনি বলে।
বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। যেমন- অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।
২। ব্যঞ্জনধ্বনি কি বা কাকে বলেঃ যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও না কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় কিংবা ঘর্ষণ লাগে, সেই সব ধ্বনিকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখের ভেতরে কোথাও না কোথাও বাধা পায় এবং যা স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
যেমন- ক (ক+অ), চ (চ+অ), ট, ত প ইত্যাদি। ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ৩২টি।
স্বরধ্বনির প্রকারভেদ
উচ্চারণের তারতম্যের জন্য স্বর ধ্বনিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা –
১ – হ্রস্ব স্বরধ্বনি ও
২ – দীর্ঘ স্বরধ্বনি।
গঠনগত দিক থেকে স্বরধ্বনিতে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
১ – মৌলিক স্বরধ্বনি ও
২ – যৌগিক স্বরধ্বনি ।
জিহবার অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনিকে পাঁচটি শ্রেণীবিভাগে ভাগ করা যায়। যেমন –
১ – সম্মুখস্থ বা প্রসারিত স্বরধ্বনি,
২ – পশ্চাৎ ভাগস্থ স্বরধ্বনি,
৩ – কুঞ্চিত স্বরধ্বনি,
৪ – সংবৃত স্বরধ্বনি এবং
৫ – বিকৃত স্বরধ্বনি।
উচ্চারণের স্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি আবার ছয় প্রকার । যেমন –
১ – কণ্ঠ্যধ্বনি
২ – তালব্যধ্বনি
৩ – ওষ্ঠ্যধ্বনি
৪ – কণ্ঠ্যতালব্যধ্বনি
৫ – কণ্ঠৌষ্ঠ্যধ্বনি
৬ – মূর্ধন্যধ্বনি
নিন্মে এই সব স্বরধ্বনির সংজ্ঞা আলোচনা করা হলো।
বিভিন্ন প্রকার স্বরধ্বনির সংজ্ঞা :
হ্রস্ব স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সমস্ত স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে অল্প কম সময় লাগে তাকে হ্রস্ব স্বরধ্বনি বলে। যেমন – অ, ই, উ, ঋ।
দীর্ঘ স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে একটু বেশি সময় লাগে, তাকে দীর্ঘ স্বরধ্বনি বলে। যেমন – এ, ঐ, ও, ঔ।
মৌলিক স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে ধ্বনিগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় না তাদেরকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে।
এদের সংখ্যা সাত টি যথা- অ, আ, ই, উ, এ, ও অ্য।
যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে ধ্বনিগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় তাদেরকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে।
যেমন- ঐ (অ+ই), ঔ (অ+উ)। এইজন্য যৌগিক স্বরকে আবার সন্ধ্যক্ষর, যুগ্ম স্বর বা দ্বিস্বর বলা হয়।
সম্মুখস্থ বা প্রসারিত স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সমস্ত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সামনে চলে আসে, তাকে সম্মুখস্থ বা প্রসারিত স্বরধ্বনি বলে। যেমন- ই, এ, অ্যা।
পশ্চাৎভাগস্থ স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা পিছনের দিকে পিছিয়ে যায়, তাকে পশ্চাৎ ভাগস্থ স্বরধ্বনি বলে। যেমন- উ, ও, অ।
কুঞ্চিত স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সব স্বর ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি গোলাকার কুঞ্চিত হয়, তাকে কুঞ্চিত স্বরধ্বনি বলা হয়। যেমন- অ, উ, ও।
সংবৃত স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সমস্ত স্বর ধ্বনি সমূহ উচ্চারণের সময় সবচেয়ে কম প্রসারিত ও উন্মুক্ত হয়, তাদেরকে সংবৃত স্বরধ্বনি বলে। যেমন- ই, উ।
বিবৃত স্বরধ্বনি কাকে বলে :- যে সমস্ত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখদ্বার পুরোপুরি প্রসারিত হয়, সেসব স্বরধ্বনি গুলিকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে। যেমন আ।
কণ্ঠ্যধ্বনি কি :- যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠনালির উপরিভাগ বা জিহ্বামূল, তাদের কণ্ঠ্যধ্বনি বলে। যেমন- অ, আ।
তালব্যধ্বনি কি :- যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান তালু, তাদের তালব্য ধ্বনি বলে। যেমন – ই, ঈ, তালব্যধ্বনি।
ওষ্ঠ্যধ্বনি :- যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান ওষ্ঠ, তাদের ওষ্ঠ্যধ্বনি বলে। যেমন:- উ, ঊ, ।
কণ্ঠ্যতালব্যধ্বনি :- যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ এবং তালু উভয়ই, তাদের কণ্ঠ্যতালব্য ধ্বনি বলে। যেমন- এ, ঐ কণ্ঠ্যতালব্য ধ্বনি।
কণ্ঠৌষ্ঠ্যধ্বনি :-যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ ও ওষ্ঠ, তাদের কণ্ঠৌষ্ঠ্য ধ্বনি বলে। যেমন- ও, ঔ কণ্ঠৌষ্ঠ্য ধ্বনি।
মূর্ধন্য ধ্বনি :- যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান মূর্ধা বা তালুর অর্থভাগ, তাদের মূর্ধন্য ধ্বনি বলে। যেমন – ঋ।
ধ্বনি থেকে প্রশ্ন ও উত্তর
১. নীচের মন্তব্যগুলির মধ্যে কোনটি অশুদ্ধ
ক) বর্ণ হল ধ্বনির লিপিরূপ
খ) চন্দ্রবিন্দু যুক্ত স্বরধ্বনির সানুনাসিক উচ্চারণ হয়
গ) যৌগিক স্বরধ্বনিগুলি অবিভাজ্য
ঘ)প্লুতস্বর হল স্বরধ্বনিকে অতি দীর্ঘ বা প্রলম্বিত করে উচ্চারণ
উত্তরঃ গ
২. কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি হল
ক) অ
খ) আ
গ) অ্যা
ঘ) ই
উত্তরঃ গ
৩. ‘খ্’ ও ‘থ্’ ধ্বনি হল
ক) অল্পপ্রাণ অঘোষ খ) অল্পপ্রাণ ঘোষ
গ) মহাপ্রাণ অঘোষ ঘ) মহাপ্রাণ ঘোষ
উত্তরঃ গ
৪. বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কয়টি ?
ক) ৫টি খ) ৭টি
গ) ৯টি ঘ) ১১টি
উত্তরঃ ৭টি
৫. ‘ল্’ ধ্বনিটি হল
ক) উষ্ম ধ্বনি খ) তাড়িত ধ্বনি
গ) কম্পিত ধ্বনি ঘ) পার্শ্বিক ধ্বনি
উত্তরঃ ঘ
৬. নীচের কোন বিকল্পটি শুদ্ধ
ক) ত্থ=থ্+থ্ খ) হ্ম=হ্+ম্
গ) হ্ণ=হ্+ন্ ঘ) ঞ্জ= জ্+ঞ্
উত্তরঃ খ
৭. নীচের কোন বিকল্পটি অশুদ্ধ
ক) ল্ হল পার্শ্বিক ধ্বনি
খ) র্ কম্পনজাত ধ্বনি
গ) ড়্ তাড়নজাত মহাপ্রাণ ধ্বনি
ঘ) তরল স্বর হল র্ , ল্
উত্তরঃ গ
৮। নীচের মন্তব্যগুলির মধ্যে কোনটি সঠিক ?
ক) ই, এ – পশ্চাৎ স্বরধ্বনি
খ) উ, ও – কুঞ্চিত স্বরধ্বনি
গ) আ – সংবৃত স্বরধ্বনি
ঘ) অ – অর্ধসংবৃত স্বরধ্বনি
উত্তরঃ খ
৯। ‘অ্যা’ – স্বরধ্বনি –
ক) ধ্বনিমালাতে নেই, বর্ণমালাতে আছে
খ) ধ্বনিমালাতে আছে, বর্ণমালাতে নেই
গ) ধ্বনিমালাতে আছে বর্ণমালাতেও আছে
ঘ) ধ্বনিমালাতেও নেই বর্ণমালাতেও নেই
উত্তরঃ খ
১০। অর্ধমাত্রার বর্ণ হল
ক) ৬ টি খ) ৮টি
গ) ১০টি ঘ) ১২টি
উত্তরঃ খ
সম্মানিত পাঠক আশা করি আজকের টপিক বুজতে পারছেন। উপরে আমরা ধবনি কাকে বলে ক্তো প্রকার এবং কি কি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আশা করি ধবনি নিয়ে আর জামেলা হবে না।
ধ্বনি সম্পর্কিত টাইটেলঃ ধ্বনি কাকে বলে, ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ, ধ্বনি কাকে বলে উদাহরণ দাও, ধ্বনি কাকে বলে class 1, স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগ, ব্যঞ্জনধ্বনি কয়টি, ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে, ধ্বনি ও বর্ণ pdf, হলন্ত ধ্বনি , রেডিও ধ্বনি, সন্ধিতে চ ও জ এর পরে নাসিক্য ধ্বনি কি হয়, ধ্বনি ও বর্ণ কাকে বলে, দ্যোতিত ধ্বনি অর্থ, মিম্বরের ধ্বনি pdf, অবিভাজ্য ধ্বনি, ধ্বনি কাকে বলে কত প্রকার, ধ্বনি পরিবর্তন মনে রাখার কৌশল, আযানের ধ্বনি।