বাংলাদেশে এই বছরের সাড়ে তিন মাসেই অন্তত আটটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার নবাবপুরে ১৪ই এপ্রিল রাতে লাগা একটি আগুনে গুদামঘর পুড়ে গেছে। ওই গুদামঘরে নবাবপুর মার্কেটের প্রায় অর্ধশত দোকানের মালামাল রাখা ছিল। তার তিনদিন আগে ১১ই এপ্রিল চকবাজারের একটি সিরামিক গুদামে আগুন লাগে।
বঙ্গবাজারে ৪ এপ্রিল আগুনে প্রায় চার হাজার দোকানপাট পুড়ে যায়। এর কয়েকদিন আগে ২৭শে মার্চ ঢাকার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন আর কাপ্তান বাজারের জয়কালী মন্দির সংলগ্ন সুইপার কলোনিতে আগুন লাগে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার কড়াইল বস্তিতে আর ১৯শে ফেব্রুয়ারি গুলশানের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।
অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’যে ভবনগুলোয় আগুন লেগেছে, সেগুলো কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আগে পরিদর্শন করে বলেছে যে, সেগুলো পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখানে ইলেকট্রিক্যাল লাইন, এয়ার কন্ডিশনিং,- এগুলো নিয়ম অনুসরণ করে করা হয়নি। তারা ভবনের নানারকম এক্সটেনশনও করেছেন, যা ফায়ার কোড মেনে হয়নি।‘’
‘’এখন অত্যধিক গরম পড়েছে। মার্কেটিংয়ের জন্য জিনিসপত্র বেশি নিয়ে আসা হয়েছে, সেগুলো হ্যাজার্ড অবস্থায় আছে। মানুষজনের চলাফেরা বেশি, সব মিলিয়ে পুরো জিনিসটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফলে আগুন না লাগাটাই আসলে একটা মিরাকলের মতো ব্যাপার,‘’ তিনি বলছেন।
অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক স্থানে অনেকটা একই প্যাটার্নে আগুন লাগা কতটা স্বাভাবিক?
এই প্রশ্নের জবাবে অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলছেন, ‘’এখানে একটা চিন্তার বিষয় আছে। তবে তদন্ত ছাড়া সেটা বলা ঠিক হবে না। আমার মনে হয়, ইন্টেলিজেন্সগুলোর উচিত এটা তদন্ত করে দেখা। যেভাবে মার্কেটগুলোয় আগুন লাগার ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না।‘’