বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পার্থক্য

Rate this post

বিদ্যানন্দ আর #আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পার্থক্য কি জানেন?

বিদ্যানন্দ একটা এলাকা নির্দিষ্ট করে। এরপর সেখানকার গুটি কয়েক গরীব মানুষকে এক বেলা খাওয়ায়। এরপর ছয়মাস আর সেই এলাকায় যায় কিনা সন্দেহ আছে, কিন্তু একবেলা খাওয়ানোর ছবি অনলাইনে ছয় মাস ধরে পোস্ট করে টাকা ঠিক‌ই তোলে।

আর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নির্দিষ্ট এলাকায় যায়। এরপর গরীবদের লিস্ট করে। পুরুষের হাতে তুলে দেয় রিকশা, মেয়েদের জন্য সেলাই মেশিন, ব্যবসায়ীর জন্য টঙের দোকান। বিদ্যানন্দের দেওয়া এক বেলার মাছ-মাংসে ঐ এক বেলাই পেট চলে, কিন্তু আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ঐ একবেলার দানে সারাবছর সংসার চলে।

কোথাও কোনো এলাকা দুর্যোগ কবলিত হলেও একই কথা। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যখন দুর্যোগ কবলিত দুঃস্থদের দান করে, তখন মিনিমাম এক মাসের খাদ্যদ্রব্য পুরোটা দিয়ে দেয়। আর বিদ্যানন্দ গিয়ে একবেলা মজাদার পোলাও-খিচুড়ি-রোস্ট খাইয়ে ফটোসেশন করে চলে আসে।

বিদ্যানন্দ সারাজীবন এভাবে অমুক এলাকায় একবেলা তমুক এলাকায় দুইবেলা খাওয়ালে‌ও কোনো লাভ নেই। অনলাইনে যে শিশুর পেট ভরার ছবি দেখে এতো খুশি হন, খবর নিয়ে দেখুন সেদিন বিকাল থেকেই শিশুটি না খেয়ে থেকেছে। কারন বিদ্যানন্দ তো আর দৈনিক তিনবেলা ভাত দিবে না। খাওয়াবে, ফটোসেশন করবে, পেইজে রসালো পোস্ট দিয়ে মানুষকে কাঁদাবে, এরপর উধাও।

কিন্তু আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যে দরিদ্র পরিবারকে রিকশা, সেলাই মেশিন, কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়েছে– আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তাদের অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যেখানে মানুষদের স্বাবলম্বী হওয়া শেখাচ্ছে, বিদ্যানন্দ সেখানে মানুষদের শেখাচ্ছে পরাবলম্বন-পরনির্ভরশীলতা।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন‌ বেকারত্ব আর দারিদ্রতাকে মুছে দেওয়ার চেষ্টায় আছে, আর বিদ্যানন্দ দারিদ্রতাকে কাজে লাগিয়ে গরীবদের আবেগ বিক্রি করে চলতেছে। এইটাই পার্থক্য।

তাই যদি সারা বছর দরিদ্রদের দরিদ্র বানিয়ে রেখে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে চান, তাহলে বিদ্যানন্দে বেশি বেশি ডোনেশন দিন। আর যদি গরিবদের দারিদ্রতামুক্ত করতে চান, তাহলে আস-সুন্নাহের স্বাবলম্বীকরণ প্রজেক্টেই আপনার ডোনেশন-যাকাত সব পাঠিয়ে দিন।

Leave a Comment