বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ

Rate this post

পাঠক আসলামুআলাইকুম আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আজকে আমরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকুরীর পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে আমরা সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ বারবার পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ গুলো তুলে ধরছি। আশা করি আজকের এক কথায় প্রকাশ গুলো থেকে তোমাদের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ১০০% কমন থাকবে। তাই দেরি না করে আজকে পোস্টটি শুরু করা যাক।

  • সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন।
  • সকলের জন্য অনুষ্ঠিত- সর্বজনীন।

সকলের জন্য মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর- সর্বজনীন (মনে রাখুন : বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন)।

সকলের মধ্যে প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ- সার্বজনীন [সূত্র : বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃ. ১৩২৫]

নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর।

যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর।

যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত ।

যা পাঠ করা হয়েছে- পঠিত।

যে বিদ্যা লাভ করেছে — কৃতবিদ্য (‘কৃতবিদ্যা’ নয় কিন্তু!) –

আকাশ ও পৃথিবী- ক্রন্দসী [সূত্র : বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃ. ৩৪৪]

স্বর্গ ও মর্ত্য- ক্রন্দসী [সূত্র : বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা

অভিধান, পৃ. ৩৪৪] (মনে রাখুন: আকাশ ও পৃথিবী তথা স্বর্গ ও

মর্ত্য মানুষের জন্য কাদে! মানে ক্রন্দসী!)

আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল- ক্রন্দসী

পৃথিবী ও স্বর্গ- রোদসী [সূত্র : বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃ. ১১৯১]

ঘরের অভাব- হা-ঘর

ভিক্ষার অভাব – দুর্ভিক্ষ

অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন- দুর্ভিক্ষ

যে ব্যক্তি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়- মাধুকরী/মধুকরী

ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল- বিসপী।

গমন করতে পারে যে- জঙ্গম

সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদগমন।

মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া- প্রত্যুৎগমন

মান্যব্যক্তি বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়ে দেওয়া- অনুব্রজন

আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত / আদ্যোপান্ত ।

পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক।

  • যার পুত্র নেই- অপুত্রক –

অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান- পিজরাপোল

যেখানে মৃতজন্তু ফেলা হয়- ভাগাড় / উপশল্য

মাছিও প্রবেশ করে না যেখানে- নির্মক্ষিক

তৃণাচ্ছাদিত ভূমি- শাল।

অকালে পক্ক হয়েছে যা- অকালপক্ব ।

অকালে উৎপন্ন কুমড়া- অকালকুষ্মাণ্ড

বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী।

যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু ।

যে অন্যের অধীনে নয়- স্বাধীন।

যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ।

যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী।

তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী

যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল।

যার আকার কুৎসিত- কদাকার ।

যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা।

অক্ষি পত্রের (চোখের পাতা) লোম- অক্ষিপক্ষ্ম

অধর-প্রান্তরের হাসি- বক্রোষ্ঠিকামর

অন্তরে জল আছে এমন যে (নদী)- অন্তঃসলিলা

অন্তর যা ঈক্ষণ (দেখার) যোগ্য- অন্তরীক্ষ

অন্ন-ব্যঞ্জন ছাড়া অন্য আহার্য- জলপান

অন্যের অপেক্ষা করতে হয়, না যাকে- অনপেক্ষ

অবজ্ঞায় নাক উঁচু করেন যিনি- উন্নাসিক।

অভ্র (মেঘ) লেহন / স্পর্শ করে যা- অভ্রংলিহ

আভিজাত্যপূর্ণ মনে হলেও আসলে অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর- হিংটি

আয়ুর পক্ষে হিতকর- আয়ুষ্য

আশীর্বাদ ও অভয়দানসূচক হাতের মুদ্রা- বরাভয় ।

এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত- একাদিক্রমে ।

ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার- আঁষটে।

ঈষৎ উষ্ণ- কবোষ্ণ।

উদক (জল) পানের ইচ্ছা- উদন্যা।

উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান- উপজ্ঞা।

ঋণ শোধের জন্য যে ঋণ করা হয়- ঋণার্ণ

ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি – ঋত্বিক

এক বস্তুতে অন্য বস্তুর কল্পনা- অধ্যাস ।

গদ্যপদ্যময় কাব্য- চম্পু কাব্য

পদ্মের ন্যায় অক্ষি বা চোখ- পুণ্ডরীকাক্ষ

কাচের তৈরি বাড়ি- শিশমহল ।

চালচলনের উৎকর্ষ- সভ্যতা

চিত্রকর্মের কাঠামো- নকশা

চোখের কোণ- অপাঙ্গ

চোখে লজ্জা নেই যার- চশমখোর

দুইয়ের মধ্যে একটি- অন্যতর

দেখে চোখের আশা মেটে না যাকে- অতৃপ্তদৃশ্য

দ্বারে থাকে যে- দৌবারিক।

ধর্মপুরুষ বা সন্ন্যাসীর পর্যটন- পরিব্রাজন

ধর্মীয় কাজ করার জন্য তীর্থভ্রমণ- প্রব্রজ্যা

নীল বর্ণ পদ্ম- ইন্দির।

পদ্মের উঁটা বা নাল- মৃণাল ।

পা ধোয়ার জল- পাদ্য

পিতৃগৃহবাসিনী- চিরন্টী

ফুল হতে জাত- ফুলেল

ফেলে দেবার যোগ্য- ফেনায়ক

বন্দুক বা তীর ছোড়ার অনুশীলনের জন্য স্থাপিত লক্ষ্য-চাঁদমারি

বিনা অপরাধে সংঘটিত হত্যা- গণহত্যা

মায়া (ছল) জানে না যে- অমায়িক

মিলনের ইচ্ছায় নায়ক বা নায়িকার সঙ্কেত স্থানে গমন- অভিসার

যা আগুনে পোড়ে না- অগ্নিসহ।

যা আঘাত পায় নি – অনাহত

যা আহুত (ডাকা) হয় নি- অনাহুত

যা জল দেয়- জলদ (মেঘ)

যা ধারণ বা পোষণ করে- ধর্ম।

যা নিজের দ্বারা অর্জিত- স্বোপার্জিত

যা বহন করা হচ্ছে- নীয়মান

যা বিক্রয় করার যোগ্য- বিক্রেয়

যা মাটি ভেদ করে ওঠে- উদ্ভিদ।

যা সহজে মুছে ফেলা যায় না- দুর্মোচ্য

যা শল্য-ব্যথা দূরীকৃত করে- বিশল্যকরণী

যার অর্থ নেই- অর্থহীন যার ঈহা (চেষ্টা) নেই- নিরীহ

যার আগমনের কোনো তিথি নেই- অতিথি

যে আলোতে কুমুদ ফোটে- কৌমুদী

যে গাঁজা দ্বারা নেশা করে- গেঁজেল

যে গাভি প্রসবও করে না, দুধও দেয় না- গবোশা ।

যে গৃহের বাইরে রাত্রিযাপন করতে ভালোবাসে- বারমুখো।

যে জমিতে দুবার ফসল হয়- দো-ফসলি

যে জমিতে ফসল জন্মায় না- ঊষর

যে তীর নিক্ষেপে পটু- তীরন্দাজ

  • যে মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয়- সংবর্ত

. যে সমাজের (বর্ণের) অন্তদেশে জন্মে- অন্ত্যজ .

যে সর্বত্র গমন করে- সর্বগ

  • যে সুপথ থেকে কুপথে যায়- উন্মার্গগামী

. যে-শিশু আটমাসে জন্মগ্রহণ করেছে- আটাসে

রক্ত বর্ণ পদ্ম- কোকনদ

রাহ বা রাস্তায় ডাকাতি- রাহাজানি

রোদে শুকানো আম- আমশি

হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত অংশ

হাতের চতুর্থ আঙুল- অনামিকা।

হাতের তৃতীয় আঙুল- মধ্যমা।

হাতের তালু- করতল।

হাতের দ্বিতীয় আঙুল- তর্জনী ।

হাতের পঞ্চম আঙুল- কনিষ্ঠা।

নিরানব্বুয়ের ধাক্কা- সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।

নারদের ঢেঁকি- বিবাদের বিষয়।

যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে ।

নদী মাতা যার- নদীমাতৃক।

নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা ।

যা আঘাত পায়নি- অনাহত।

নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক ।

যিনি ভালো ব্যাকরণ জানেন/ ব্যাকরণে অভিজ্ঞ/ব্যাকরণে পণ্ডিত- বৈয়াকরণ

উপরে আমরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় বারবার আসা গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ গুলো তুলে ধরেছি। আশা করি উপরের এক কথায় প্রকাশ গুলো থেকে আমাদের বিভিন্ন চাকরির প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় এই এক কথায় প্রকাশ গুলো থেকে সর্বোচ্চ কমন থাকবে। এছাড়া তোমাদের বিভিন্ন একাডেমিক পরীক্ষায় প্রস্তুতি স্বরূপ উপরের এক কথায় প্রকাশ হলো দেখে নিতে পারো। আশা করি উপরে এক কথায় প্রকাশ গুলো তোমাদের বাস্তব জীবনে বিভিন্ন পরীক্ষায় কাজে দিবে। তো সবার শুভ কামনা করে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Comment