বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে ৪৩টি কনফিউজড প্রশ্ন ও উত্তরঃ প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। হয়তো উপরের টাইটেল থেকে বুজেই গেছেন যে, আজকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে সকল কনফিউজড প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা হবে। আমরা অনেকেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বই পড়তে ভালোবাসি আবার অনেকেই বাংলাভাষা সাহিত্য বইটি দেখলে ভয় পেয়ে যাই। তবে তারপরও আমাদেরকে একাডেমিক পরিক্ষা অথবা চাকরির পরিক্ষার জন্য পড়তেই হয়।
আজকের মূল কথা হচ্ছে যে, আমরা বাজারের বিভিন্ন বই থেকে পড়ে থাকি। কিন্তু এসব বই এ অসংখ্য ভুল রয়েছে। এমনকি কিছু প্রশ্নের উত্তর একেক বই এ একেক রকম দেয়া আছে। তখন আমরা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কনফিউশনে পড়ে যাই। তাই আজকে আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে সকল কনফিউজড প্রশ্নোত্তর ও ব্যাখ্যা সহ আলোচনা করতে যাচ্ছি।
বাংলা ভাষা সাহিত্য থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরিক্ষায় অসংখ্য প্রশ্ন এসেই থাকে। বাংলাদেশের সকল চাকরির পরিক্ষার জন্য আজকের টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএস প্রিলিমিনারী পরিক্ষায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশ থেকে ৩৫টির মতো প্রশ্ন করে থাকে। এছাড়া প্রাইমারী, বিভিন্ন চাকুরীর পরিক্ষায় সাহিত্য অংশ থেকে এক বা একাধিক প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
চাকরির পরিক্ষায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে আশা কনফিউজড প্রশ্ন ও উত্তর
আপনারা যারা বিসিএস প্রিলি, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদ, অডিটর ও জুনিয়র অডিটর, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদ ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন পদের চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা সাহিত্য নিয়ে কনফিউশান প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩
১। চর্যাপদের আদি কবি কে?
ক. লুইপা
খ. শবর পা
ব্যাখ্যা: মৎস্যেন্দ্রনাথ তথা লুইপাকে চর্যার আদি কবি মনে করা হয়। তিনি চর্যার ১ নং ও ২৯নং পদের রচয়িতা। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে- চর্যার আদি কবি শবর পা ।
২। চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা কত?
ক. ৫০টি
খ. ৫১ টি
(এক্ষেত্রে অপশনে ২টা তথ্যই দেয়া থাকলে কি করনীয়?)
ব্যাখ্যা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাপদে মুণিদত্ত নামক এক পণ্ডিতের সংস্কৃত টীকা ছিল। মুণিদত্তের টীকা সম্বলিত পুঁথিতে পদ পাওয়া গিয়েছিল সাড়ে ৪৬টি। চর্যাপদ তিব্বতী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী এ অনুবাদ আবিষ্কার করেন । আর তখনই জানা যায় চর্যাপদের মোট পদ ছিল ৫১টি। সুতরাং উত্তর ৫১ই হবে।
৩। চর্যাপদ মূলত-
ক. গানের সংকলন
খ. কবিতার সংকলন
ব্যাখ্যা: চর্যাপদ মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া বা বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধকদের সাধন সঙ্গীত। সঙ্গীত বলতে সাধারণত গানই বুঝায়। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘বাংলা সাহিত্যের কথা (প্রথম খণ্ড) বইয়ে লিখেছেন- ‘বৌদ্ধ সহজিয়াগণ পটমঞ্জরী, বঙ্গাল প্রভৃতি লোকপ্রিয় রাগে গান করিয়া তাঁহাদের মত প্রচার করিলেন। সুতরাং বলা যায় চর্যাপদ গানের সংকলন। তবে অপশনে গান না থাকলে হবে কবিতার সংকলন।
৪। চর্যাপদের পদকর্তা কাহপা কয়টি পদ লিখেছেন?
ক. ১২টি
খ. ১৩টি
ব্যাখ্যা: কৃষ্ণাচার্য পা তথা কাহপাকে চর্যাপদের প্রধান কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার রচিত পদ- ১৩ টি । ৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ১৯, ২৪, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৫। উল্লেখ্য ২৪ নং পদটি পাওয়া যায় নি। এখন যেসব বইয়ে ১২টি দেওয়া আছে তারা হয়তো ২৪নং পদটি বাদ দিয়ে হিসেব করেছেন।
৫। চর্যাপদের কবির সংখ্যা কত?
ক. ২৩ জন
খ. ২৪ জন
ব্যাখ্যা: চর্যাপদের কবির সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে। সুকুমার সেনের ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (১ম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১ জন কবির পদ পাওয়া যায়নি। সেই হিসেবে প্রাপ্ত পদের কবির মোট সংখ্যা ২৩ জন। অতএব অপশনে দুটোই থাকলে উত্তর হবে ২৪ জন।
৬। পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম কবি কে?
ক. ফকির গরীবুল্লাহ
খ. সৈয়দ হামজা
ব্যাখ্যা: পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম, শ্রেষ্ঠতম ও সার্থক কবি ফকির গরীবুল্লাহ। তিনি ‘আমীর হামজা’ কাব্য রচনার মাধ্যমে পুঁথি সাহিত্য ধারার সূচনা করেন। তাঁর অনুসারী হিসেবে এ ধারায় সৈয়দ হামজার আবির্ভাব। ফকির গরীবুল্লাহ ‘আমীর হামজা’ কাব্যটি জীবদ্দশায় শেষ করে যেতে পারেন নি। কাব্যটি শেষ করেন সৈয়দ হামজা। * উল্লেখ্য অপশনে ফকির গরীবুল্লাহ না থাকলে উত্তর হবে সৈয়দ হামজা।
৭। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
ক. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
খ. আলাওল
গ. ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর
ব্যাখ্যা: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ষোড়শ শতকের শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, সতের শতকের শ্রেষ্ঠ কবি মহাকবি আলাওল, অষ্টাদশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ রায় গুনাকর। সার্বিক বিবেচনায় মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি তথা মধ্যযুগের সর্বশেষ কবি ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
৮। পদ বা পদাবলি বলতে কী বুঝায়?
ক. পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনা
খ. বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি
ব্যাখ্যা: শ্রী চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্মকে কেন্দ্র করে পদাবলির জন্ম। বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মীয় সঙ্গীতই পদাবলি বা বৈষ্ণব পদাবলি। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা এর মূখ্য বিষয়। পদাবলি সাহিত্যের সূচনা চতুর্দশ শতকে কিন্তু বিকাশ ঘটে ষোড়শ শতকে এবং আঠার শতক পর্যন্ত রচিত হয়।
৯। কবি আলাওলের জন্মস্থান কোথায়?
ক. চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম
খ. ফরিদপুরের ফতেয়াবাদ
ব্যাখ্যা: আলাওলের জন্মস্থান কোথায় এটা নিয়ে পণ্ডিত মহলে এখনো মতভেদ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রাম। আবার অনেকেই মনে করেন আলাওলের পিতার কর্মস্থল ফরিদপুরের ফতেয়াবাদ পরগনার জালালপুর গ্রাম। তবে জোবরা গ্রাম হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
১০। পদাবলীর প্রথম কবি কে?
ক. বিদ্যাপতি
খ. চন্ডীদাস
ব্যাখ্যা: পদাবলীর প্রথম কবি বিদ্যাপতি। তিনি মিথিলার লোক, অবাঙালি কবি। পদাবলীর প্রথম বাঙালি কবি চণ্ডীদাস।
১১। ‘খনার বচন’ এর মূলভাব কি?
ক. শুদ্ধ জীবনযাপন রীতি
খ. সামাজিক মঙ্গলবোধ
ব্যাখ্যা: খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া। বৌদ্ধ সমাজে খনার বচনের সৃষ্টি। আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। খনার বচনগুলো আবহাওয়া, জলবায়ু, জ্যোর্তিবিদ্যা ও ভূতত্ত্বভেদে শস্যের ক্ষয়-ক্ষতি ও উৎপাদন সম্পর্কিত। সার্বিক বিবেচনায় খনার বচনের মূলভাব সামাজিক মঙ্গলবোধ ।
১২। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
ক. উইলিয়াম কেরির ‘কথোপকথন’
খ. রামরাম বসুর ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’
ব্যাখ্যা: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ উইলিয়াম কেরির ‘কথোপকথন’ (১৮০১)। রামরাম বসুর ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ (১৮০১) প্রকাশিত হয় ‘কথোপকথন’ প্রকাশের এক মাস পরে।
১৩। মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্ৰাহক কে?
ক. দীনেশ চন্দ্র সেন
খ. চন্দ্রকুমার দে
ব্যাখ্যা: চন্দ্রকুমার দে লোকগীতি সংগ্রাহক। তাঁর সংগৃহীত পালাগানগুলো ড. দীনেশ
চন্দ্র সেন সম্পাদনা করে মৈমনসিংহ গীতিকা’ (১৯২৩) ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ (১৯২৬)
নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করেন।
১৪। দীনবন্ধু মিত্রের ‘জামাই বারিক’ কী?
ক. নাটক
খ. প্রহসন
ব্যাখ্যাঃ প্রহসন নাটকের একটি প্রকার। এতে সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি ব্যঙ্গ বিদ্রুপের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। প্রহসনে বিষয়বস্তুর জটিলতা, গভীর জীবনবোধ, চরিত্রের সমগ্রতা থাকে না। ‘জামাই বারিক’ এ হিন্দু সমাজের কৌলিন্যপ্রথা এবং বহুবিবাহপ্রথাকে ব্যঙ্গ করে তুলে ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে জামাই বারিক প্রহসন।
১৫। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি কে?
ক. মাইকেল মধুসুদন দত্ত
খ. কাজী নজরুল ইসলাম
ব্যাখ্যা: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুলকে আমরা যে অর্থে বিদ্রোহী বলি মধুসূদন দত্ত সে অর্থে বিদ্রোহী নয়। কাজী নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক পরাধীনতা ও সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সাহিত্য রচনা করেন। আর মধুসূদন বাংলা সাহিত্য রচনার ধারার ক্ষেত্রে বিদ্রোহী। মধুসূদন প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্য রচনার ধারা ভেঙ্গে নতুন নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। একে একে অমিত্রাক্ষর ছন্দ, বাংলা সনেট, সার্থক মহাকাব্য, সার্থক ট্রাজেডি, সার্থক নাটক রচনা করেছেন।

১৬। ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের নায়ক কে?
ক. রাম
খ. রাবণ
ব্যাখ্যা: ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের নায়ক রাবণ। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে ‘মেঘনাদবধ কাব্য রচনা করলেও সবক্ষেত্রে তিনি রামায়ণের অনুসরণ করেন নি। রামায়ণে রামকে নায়ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাবণকে অত্যাচারী রাক্ষস হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু মেঘনাদবধ কাব্যে কবি রাবণকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
১৭। ‘মেঘনাদ বধ’ প্রকৃতপক্ষে কোন রসের কাব্য?
ক. করুণ রস
খ. বীর রস
ব্যাখ্যা: করুণ রস। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্যের প্রথমে কবি বলেছিলেন-‘গাইব মা বীররসে ভাসি মহাগীত’। কবি বীররসের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত এতে করুণরসই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে পাশ্চাত্য মহাকাব্যের মত বীররসাশ্রিত।
১৮। কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয় কবে?
ক. ১৯৭২
খ. ১৯৭৪
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামকে কবে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এর দিন তারিখ নির্ভরযোগ্য কোন বইয়ে নেই । বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘নজরুল তারিখ অভিধান’ এর ৩৯১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়। কিন্তু জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। তবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এটুকু পাওয়া যায়- ‘১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালের কথা কোথাও উল্লেখ নেই ।
১৯। কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ কোনটি?
ক. যুগবাণী
খ. বিষের বাঁশি
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের নিষিদ্ধ গ্রন্থের সংখ্যা ৫টি। প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ ‘যুগবাণী’ । গ্রন্থটি ২৬ অক্টোবর ১৯২২ প্রকাশিত হয়। প্রকাশের মাত্র ২৮ দিনের মাথায় ২৩ নভেম্বর ১৯২২ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় দু’বছর পর ২২ অক্টোবর ১৯২৪ ‘বিষের বাঁশি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু বাজারে প্রচলিত কোন কোন বইয়ে নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ হিসেবে ‘বিষের বাঁশি দেওয়া আছে যা সঠিক নয়।
১৯। কাজী নজরুল ইসলামের ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের পটভূমিতে অঙ্কিত হয়েছে?
ক. নদীয়ার চাঁদ সড়কের জনজীবন
খ. ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাধারণ মানুষের জন জীবন।
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম ‘মৃত্যুক্ষথা’ উপন্যাসটি তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সময়কালে মৃৎশিল্পের কেন্দ্রভূমি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে ছিলেন। এ কৃষ্ণনগরের চাঁদ সড়কের হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দারিদ্র্য ও দুঃখ ভরা জীবন নিয়ে ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি লিখেছেন ।
২০। কোন কবিতার জন্য অগ্নিবীণা কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
ক. রক্তাম্বরধারিণী মা
খ. আনন্দময়ীর আগমনে
ব্যাখ্যা: গ্রন্থ হিসেবে অগ্নিবীণা কাব্যটি কখনো নিষিদ্ধ করা হয় নি। এ কাব্যের ‘রক্তাম্বরধারিনী মা’ কবিতাটি নিষিদ্ধ হয়। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ অগ্নিবীণা কাব্যের কবিতা নয়। এ কবিতাটি ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ ‘ধুমকেতু’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। এ কবিতার প্রকাশের জন্য নজরুলের এক বছর জেল হয়েছিল।
২১। কাজী নজরুল ইসলামের বাজেয়াপ্ত/নিষিদ্ধ গ্রন্থের সংখ্যা কয়টি?
ক. ৫ টি
খ. ৬ টি
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের বাজেয়াপ্ত হওয়া গ্রন্থের সংখ্যা ৫টি। এগুলো হলো- যুগবাণী, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, প্রলয় শিখা, চন্দ্রবিন্দু। এছাড়াও আরো কিছু গ্রন্থের উপর সরকারের আক্রোশ ছিল- অগ্নিবীণা, সঞ্চিতা, ফনিমনসা, সর্বহারা, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, কুহেলিকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয় নি। উল্লেখ্য যে, গ্রন্থ হিসেবে অগ্নিবীণা কাব্যটি কখনো নিষিদ্ধ করা হয় নি। এ কাব্যের ‘রক্তাম্বরধারিনী মা কবিতাটি নিষিদ্ধ হয়।
২২। “বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত?
ক. অগ্নিবীণা
খ. সঞ্চিতা
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২)। এ কাব্যে মোট ১২টি কবিতা রয়েছে। এর দ্বিতীয় কবিতা ‘বিদ্রোহী’। কাজী নজরুলের ‘সঞ্চিতা’ হচ্ছে একটি কবিতা সংকলন। বিভিন্ন কাব্য গ্রন্থ থেকে ৯৬টি কবিতা নিয়ে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রশ্ন আসলে উত্তর ‘অগ্নিবীণা’ই হবে।
২৩। কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় কবে?
ক. ১৯৭৪
খ. ১৯৭৬
ব্যাখ্যা: বাংলা একাডেমির ‘নজরুল তারিখ অভিধান’ গ্রন্থের ৪০১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- *১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ নজরুলকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়।
২৪। কাজী নজরুল কত বছর বয়সে বাকশক্তি হারান?
ক. ৪২
খ. ৪৩
ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে ‘পিক্স ডিজিজ’ নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। সেই হিসেবে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ক্রমশ চিরতরে বাকশক্তি হারান।
২৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য অনুবাদ করেন কে?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. W. B. Yeats
ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলি (১৯১০) কাব্যটি কবি নিজেই Song Offerings নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ইংরেজ কবি WB Yeats শুধু এর ভূমিকা লিখে দেন । Song Offerings ১৯১২ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত হয়।
২৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার স্ত্রীর মৃত্যুক কেন্দ্র করে কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
ক. নৈবদ্য
খ. স্মরণ
ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ‘স্মরণ’ কাব্যটি রচনা করেন। ‘নৈবেদ্য’ কাব্যে বিভিন্নভাবে মৃত্যুর কথা এসেছে তবে তা স্ত্রীর মৃত্যুকে উপলক্ষ করে নয়। উল্লেখ্য, মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পূর্বেই নৈবেদ্য’ কাব্য প্রকাশিত হয় । নৈবেদ্য প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে, মৃণালিনী মৃত্যুবরণ করেন ১৯০২ সালে।
২৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে কোন ভাষাবিদের নাম পাওয়া যায়?
ক. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
খ. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
ব্যাখ্যা: ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নাম পাওয়া যায়। উপন্যাসের ২৭ নং পৃষ্ঠায় আছে- “ও পড়তে লাগল সুনীতি চাটুজ্যের বাংলা ভাষার শব্দতত্ত্ব….”
২৮। মুসলিম নারী জাগরণের কবি কে?
ক. বেগম রোকেয়া
খ. শামসুন্নাহার মাহমুদ
ব্যাখ্যা: মুসলিম নারী জাগরণের কবি শামসুন্নাহার মাহমুদ। তাঁর প্রথম কবিতা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘আঙ্গুর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া । তিনি মূলত প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাত।
২৯। ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসের নায়ক কে?
ক. . ইমাম হোসেন
খ. এজিদ
ব্যাখ্যা: ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসের নায়ক বা প্রধান চরিত্র এজিদ। কারণ তার কামনা- বাসনাকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাসের সূচনা এবং তার শোচনীয় বিপর্যয়ের মাধ্যমেই কাহিনীর সমাপ্তি। লক্ষ্যণীয়, এজিদের চরিত্র চিত্রণে লেখক যতটা মনোযোগী ও আন্তরিক অন্য চরিত্র চিত্রণে ততটা আন্তরিক হতে পারেন নি ।
৩০। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র কে?
ক. শ্ৰীকান্ত
খ, ইন্দ্ৰনাথ
ব্যাখ্যা: শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম খণ্ডের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় চরিত্র ‘ইন্দ্রনাথ । ইন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র। ইন্দ্রনাথকে শ্রীকান্ত চরিত্রের অগ্রপথিক বলা যায়। ইন্দ্রনাথ চরিত্র শরৎচন্দ্রের বাস্তবজীবন ও সাহিত্যিকজীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যবহনকারী চরিত্র হিসেবে গুরুত্ব লাভ করেছে।
৩১। বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক কোনটি?
ক. ভদ্রার্জুন
খ. কুলীন কুলসর্বস্ব
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষার প্রথম নাটক তারাচরণ শিকদারের ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২)। তবে এটি মৌলিক নাটক নয়, এর কাহিনি মহাভারত থেকে নেওয়া। বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ (১৮৫৪)। এটি কৌলিন্য প্রথার দোষ ত্রুটি অবলম্বনে রচিত। এ নাটকের জন্য রংপুরের জমিদার কালীচন্দ্র রায় চৌধুরীর কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার লাভ করেন।
৩২। বাংশ সাহিত্যের প্রথম প্রহসন কোনটি?
ক. একেই কি বলে সভ্যতা
খ. বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রো
ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা । প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে। এর কিছুকাল পরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন ‘বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ ।
৩২। বাংলা সাহিত্যের নাগরিক কবি কে?
ক. ভারতচন্দ্র রায়
খ. সমর সেন
ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের নাগরিক কবি ভারতচন্দ্র, সমর সেন দুটোই সঠিক। ভারতচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি (মধ্যযুগ)। আর সমর সেন আধুনিক যুগের ‘নাগরিক কবি হিসেবে খ্যাত।
৩৩। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা উপন্যাস কোনটি?
ক. নন্দিত নরকে
খ. শঙ্খনীল কারাগার
ব্যাখ্যা: হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার। প্রকাশের দিক থেকে ‘শঙ্খনীল কারাগার দ্বিতীয় হলেও এটিই ছিল হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস। ‘নন্দিত নরকে’ প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হলেও এটি তার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস ।
৩৩। বাংলা সাহিত্যের ‘দুঃখবাদী কবি’ কে?
ক. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
খ. যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যে দুঃখবাদী কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত দুটোই সঠিক। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগের দুঃখবাদী কবি, আর যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত আধুনিক যুগের দঃখবাদী কবি।
৩৪। সরদার জয়েন উদ্দীনের ‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাসের পটভূমি-
ক. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
খ. ৪৭-এর দেশবিভাগ
ব্যাখ্যা: বাজারে প্রচলিত কিছু বইয়ে ‘অনেক সূর্যের আশা উপন্যাসকে মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর আগেই প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাসের কাহিনীর ব্যাপ্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে উপন্যাস বলা হয়েছে। তথ্যটি সঠিক নয়। উপন্যাসটি ১৯৬৬ সালে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। এতে দেশবিভাগ ও দেশবিভাগোত্তর পূর্ব বাংলার সামাজিক- রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে।
৩৫। বাংলা ভাষার জন্য কোন ভাষা থেকে?
ক. প্রাকৃত
খ. অপভ্রংশ
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষার জন্ম ইন্দো-ইউরোপীয় >শতম>আর্য প্রাকৃত >অপভ্রংশ >বাংলা । অর্থাৎ অপভ্রংশ হচ্ছে বাংলা ভাষার ঠিক আগের রূপ, যার থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে। সুতরাং অপশনে দুটোই থাকলে অপভ্রংশ হওয়াই বেশি যুক্তিযুক্ত।
৩৬। বাংলা লিপির স্থায়ী রূপ লাভ করে কোন আমলে?
ক. সেন আমল
খ. পাঠান আমলে
ব্যাখ্যা: লিপি হচ্ছে লিখন পদ্ধতি। পাল আমলে বাংলা লিপির প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। সেন বংশের শাসনামলে বাংলা লিপি থেকে বাংলা অক্ষর গঠনের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে পাঠান আমলে (পনের শতকে) তা স্থায়ী রূপ লাভ করে।
৩৭। বাংলা কথ্য ভাষার আদি গ্রন্থ কোনটি
ক. কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
খ. ফুলমণি ও করুণার বিবরণ
ব্যাখ্যা: বাংলা কথ্য ভাষার আদি নিদর্শন ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ । গ্রন্থটি ১৭৪৩ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে রোমান হরফে প্রকাশিত হয়। ১৭৩৫ সালে গাজীপুরের ভাওয়ালে অবস্থানকালে লেখা হয়েছে বলে ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়। হ্যানা ক্যাথেরিন ম্যালেন্সের উপন্যাস রচনার প্রাথমিক চেষ্টা ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ । এতে আঞ্চলিক ভাষার প্রাধান্য রয়েছে কিন্তু গ্রন্থটি প্রকাশিত ১৮৫২ সালে।
৩৮। ‘জানালা’ কোন ভাষার শব্দ?
ক. পর্তুগিজ
খ. ফারসি
ব্যাখ্যা: ‘জানালা’ পর্তুগিজ শব্দ। এটি পর্তুগিজ Janella শব্দ থেকে এসেছে। উল্লেখ্য, জানাজা আরবি শব্দ, জানানা ফারসি শব্দ।
৩৯। ‘দারোগা’ কোন ভাষার শব্দ?
ক. ফারসি
খ. তুর্কি
ব্যাখ্যা: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘দারোগা ফারসি শব্দ। অন্যদিকে বোর্ড ব্যাকরণ, সংসদ বাংলা অভিধান অনুসারে ‘দারোগা’ তুর্কি শব্দ। আমি বাংলা একাডেমির পক্ষে।
৪০। ‘বারান্দা’ শব্দটি কোন ভাষা হতে আগত?
ক. ফারসি
খ. পর্তুগিজ
ব্যাখ্যা: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘বারান্দা’ ফারসি শব্দ। অন্যদিকে সংসদ বাংলা অভিধানে ‘বারান্দা’ ফারসি, পর্তুগিজ দুটোই দেওয়া আছে। সুতরাং ফারসি হওয়াই বেশি যুক্তিযুক্ত।
৪১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ ব্যবহার করা হয় কোন গ্রন্থে?
ক. তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
খ. পদ্মাবতী নাটকে
ব্যাখ্যা: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটকে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করা হয়। তবে পুরো নাটকে নয়, কিছু অংশে। পুরো গ্রন্থ হিসেবে তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যে
প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দে ব্যবহার করা হয়।
৪২। ‘তারিখ’ কোন ভাষার শব্দ?
ক. ফারসি
খ. আরবি
গ. উভয়ই
ব্যাখ্যা: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, সংসদ বাংলা অভিধান অনুসারে ‘তারিখ আরবি ভাষার শব্দ, অর্থ- মাসের দিন সংখ্যা, ইতিহাস ।
৪৩। ‘প্যাগোডা’ কোন ভাষার শব্দ?
ক. জাপানি
খ. চীনা
গ. বমি
ব্যাখ্যা: প্যাগোডা হলো বৌদ্ধ মন্দির বা উপাসনালয়। চীন, জাপান, নেপালসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে দেখা যায়। ‘প্যাগোডা’ শব্দটি কোন ভাষার তা জানার জন্য কয়েকটি বাংলা অভিধান দেখলাম কোথাও শব্দটি পেলাম না। ইংরেজি বিভিন্ন সাইটে খুঁজে চীনা, জাপানি দুটোই পেয়েছি। তবে জাপানী থেকে উৎপত্তির সমর্থন বেশি।
আজ আর নয়। আশা করি পুরো আর্টিকেল্টি পড়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে আপনার কনফিউজড প্রশ্ন ক্লিয়ার করতে পেরেছেন। আজকের টপিক থেকে কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ আজকের টপিকে আমার লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনি অনলাইনে চাকরির প্রস্তুতি, সকল চাকরির খবর নিতে চান? যদি তাই হয় তাহলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ফলো করুন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ২৫ পরামর্শ | চাকরির পরিক্ষায় বার বার আশা ৪০ টি বাছাই করা প্রশ্ন
বিসিএস ক্যাডার (BCS Cadre) পরিক্ষা প্রস্তুতি
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মানবণ্টন ও সিলেবাস
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ বাংলা সাজেশন ২০২৩
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ গণিত স্পেশাল সাজেশন ২০২৩
টেকনিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর মনে রাখার কৌশল
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরি পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি শব্দ
ইন্টারভিউ বোর্ডে বাদ পড়ার ৫০টি কারণ
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ
সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর